রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন
শফিকুল ইসলাম রুম্মন, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেশি রাখায় ৫টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ৯হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে ৷
সোমবার ১৮ মে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সার্বিক নির্দেশনা এবং জেলা প্রশাসক, মৌলভীবাজার এর তত্ত্বাবধানে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মৌলভীবাজার জেলা কার্যালয় এর সহকারী পরিচালক মো: আল-আমিন এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার পুলিশ ফোর্সের সহযোগিতায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর হাট বাজার ও দোকানে মনিটরিং ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এই সময় কুসুমবাগ পয়েন্ট, কুদরত উল্ল্যা রোড, সেন্ট্রাল রোড, সাইফুর রহমান রোড, পশ্চিম বাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। খুচরা ব্যবসায়ীদের ক্রয় ভাউচারের সাথে বিক্রয়মূল্য যাচাই করা হয়। অনেক মানুষের আয় কম এবং অনেকের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে ব্যবসায়ীদেরকে সর্বনিম্ন লাভে বিক্রয় করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
উক্ত অভিযানে টিসিবি কর্তৃক ন্যায্য মূল্যে পণ্য সামগ্রী তেল, চিনি, ডাল, পেঁয়াজ বিক্রির কাজে নিয়োজিত ট্রাক ডিলারের কার্যক্রম তদারকি করা হয়। উক্ত অভিযানে অনৈতিক ভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা, মূল্য তালিকা না রাখা, অতিরিক্ত দামে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রয় করা, মেয়াদ উত্তীর্ণ খাদ্য পণ্য বিক্রয় করা, ক্রয় ভাউচার সংগ্রহ না করাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে কুসুমবাগ পয়েন্টে অবস্থিত রিয়াদ নামে একজন অভিযোগকারী লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফারুক এন্ড সন্সকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেন্ট্রাল রোডে অবস্থিত মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজকে ১ হাজার টাকা, সাইফুর রহমান রোডে অবস্থিত মেসার্স আহম্মদ ষ্টোরকে ১হাজার টাকা, পশ্চিমবাজারে অবস্থিত খসরু এন্ড ব্রাদার্সকে ১হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
প্রিতম রায় নামের অপর একজন অভিযোগকারীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পশ্চিমবাজারে অবস্থিত পাল ট্রেডার্সকে ৪হাজার টাকা জরিমানা হয়৷ অভিযানে মোট ৫ টি প্রতিষ্ঠানকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা ও তা আদায় করা হয় ৷ এবং দুইজন অভিযোগকারীকে আইন অনুসারে জরিমানার ২৫% টাকা প্রদান করা হয়।
পেঁয়াজ, রসুন, আদা, চাল, তেল, শাক-সবজি, কাচামালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী ন্যায্য মূল্যে প্রাপ্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবং কেউ যাতে খাদ্য মজুত করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করতে না পারে, ভোগ্য পণ্য সামগ্রীর দাম যেন কেউ অনৈতিক ভাবে বাড়াতে না পারে সেই ক্ষেত্রে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিনিয়ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।